Total Pageviews

Saturday, June 25, 2011

তিন কন্যা এক ছবি

তিন বোন তিন ফুটবলার ফেনীর একই পরিবারের তিন মেয়ে ফুটবলার। তাদের ফুটবলার হয়ে ওঠার গল্প শোনাচ্ছেন বদিউজ্জামানআবদুল মালেক মজুমদারের ছোট মেয়ের নাম বাবু। বাবু আবার মেয়েদের নাম হয় নাকি? প্রশ্নটা করতেই বাবুর উত্তর, ‘সবার ছোট বলে আদর করে সবাই বাবু নামেই ডাকত আমাকে, সেই থেকে আমি বাবু।’ পুরো নাম সৌদিয়া আক্তার বাবু। ফুলগাজী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী বাবু এবারের জাতীয় মহিলা ফুটবলের আঞ্চলিক পর্বে খেলল ফেনী জেলা দলের হয়ে। সে দলের মূল গোলরক্ষক। আবদুল মালেকের আরও দুই মেয়ে খেলে ফেনী দলে। রাবেয়া আক্তার কাকন স্ট্রাইকার, ফৌজিয়া আক্তার বিন্তু ডিফেন্ডার। চূড়ান্ত পর্বে ওঠার জন্য বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে কিশোরগঞ্জের সঙ্গে প্লে-অফ ম্যাচ খেলে ফেনী। কিন্তু টাইব্রেকারে হেরে হতাশ হয়ে বাড়ির পথ ধরতে হয়েছে তিন বোনকে।আবদুল...

Tuesday, June 21, 2011

পলিথিন মিশে যাবে মাটিতে!

এক্সটোডার যন্ত্রে বিকল্প পলিথিন তৈরির কাঁচামাল ঢালছেন এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এমন পলিথিন, যা মিশে যায় মাটির সঙ্গে। পরে এটি পরিবেশবান্ধব ও ধীরগতির সার হিসেবে ব্যবহূত হবে। আর এ পলিথিন তৈরিতে ব্যবহূত হয়েছে পরিচিত সব জিনিস। ক্ষতিকর পলিথিনের মাটিতে মিশ্রণীয় পরিবেশবান্ধব এমনই এক বিকল্প উদ্ভাবন করেছেন অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান। মাটিতে মিশে যায় এমন পলিথিন তৈরির খবর শোনা যায়। তবে মাটিতে মিশ্রণীয় পলিথিন তৈরিতে ওয়াহিদুজ্জামানের পদ্ধতিটি নতুন।ভাতের মাড়, চালের গুঁড়া, আলু, অ্যারারুট প্রভৃতি শ্বেতসার-জাতীয় পদার্থের সঙ্গে পলিভিনাইল অ্যালকোহল (পিভিএ), জিগাগাছের আঠা, ইউরিয়া, চিনি, সয়াবিন তেল মিশিয়ে বিকল্প পলিথিন উদ্ভাবন করেছেন তিনি।বিকল্প এই পলিথিন ছিল এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের পিএইচডি গবেষণার বিষয়। গত ৯ এপ্রিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের...

Wednesday, June 15, 2011

১৪ বছরেই পেশাদার সনদ!

পিএইচপির পেশাদার প্রোগ্রামার হিসেবে সনদ পেয়েছে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র শাহজাদ নূরওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েবের জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম তৈরি করে ওয়েব জগতে নানা কাজের জন্য বর্তমান সময়ে পিএইচপি অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রোগ্রামিং ভাষা। কেতাবি ভাষায় যাকে বলা হয় সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ। নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য সংযোজনের মাধ্যমে এই ভাষার উন্নয়ন করা হচ্ছে। জেন্ড হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি দক্ষ পিএইচপি ডেভেলপার বা প্রোগ্রামার তৈরির ক্ষেত্রে সহায়তা করে। পিএইচপি ভাষায় যাঁরা দক্ষ প্রকৌশলী তাঁদের সনদপত্র দিয়ে থাকে জেন...

Sunday, June 12, 2011

তুহিন বড়ুয়াঃ বিজ্ঞাপন ফার্ম ও প্রডিউসিংয়ে সফল মানুষ

ক্যারিয়ার হিসেবে মিডিয়া ব্যবসা কেন বেছে নিলেন?তুহিন বড়ুয়াঃ আসলে আমার মিডিয়া ব্যবসা শুরু হয় আমার এক বন্ধু কহিনূরের উৎসাহে। সে গ্রম্নপ থিয়েটার করতো। একদিন কহিনূর আমাকে বললো, চল নাটকে বিনিয়োগ করি। মোটামুটি ভালো লাভ হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে কাজে নেমে পড়ি। তখন একুশে টিভি নাটকগুলো কিনে নিতো। প্রথম নাটকের নাম ছিল ‘নষ্টে কষ্টে জীবন’। নাটকটি একুশে টিভিতে প্রচার করা হলো। যদিও নাটকটিতে লাভ না হয়ে ক্ষতি হয়েছিল। তারপরও প্রচার হয়েছিল, এতেই খুশি ছিলাম। এরপরই ‘ঘাটের মানুষ’ নামে আরেকটি খন্ড নাটক করি। তারপর ধারাবাহিক নাটকে বিনিয়োগ করলাম। প্রথম ধারাবাহিক নাটকটির নাম ছিল ‘এবং বিয়ে’। এরপর যখন দেখলাম সবাই আমাকে চিনছে, সবার কাছে পরিচিতি বাড়ছে, তখন ভালোই লাগতো। এভাবেই মিডিয়া ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড...

টার্গেট চেনো, ফোকাস করো, সফল হবে

সফল মানুষরা একসঙ্গে দশটা কাজ করেন— এই ধারণাটা ভুল। এক সময়েতাঁরা একটাই কাজ করেন, এবং সেই সময়টার জন্য অন্য সব কাজের কথাভুলে যান। পরমুহূর্তেই, এই কাজটা শেষ হয়ে গেলে, মন চলেযায় অন্য কাজে। আলোচনা করছেন বিবেক দেবরায় আমি কোনও কাজেই সাফল্য পাই না। ফাঁকিবাজ নই, অন্তত নিজের সাধ্যমত সমস্ত কাজ ভাল ভাবে করার চেষ্টা করি। কিন্তু পড়াশোনা, গান শেখা, বাড়ির কিছু কিছু দরকারি কর্তব্য— এই সব নানা দিক সামলে উঠতে পারছি না। মাঝে মাঝে মনে হয়, সাফল্য ব্যাপারটা সকলের জন্য নয়, যাদের হয় তাদের হয়, ওটা আসলে ভাগ্যের ব্যাপার। সত্যিই কি তা-ই? জীবনে সাফল্যের নানা মাপকাঠি: যশ, অর্থ, প্রতিপত্তি, আরও কত কী। সাফল্যের সূচক যা-ই হোক না কেন, সফল ব্যক্তির সঙ্গে অসফলের একটা তফাত চোখে পড়ে। অসফল মানুষ সচরাচর পারিপার্শ্বিক বা বাতাবরণকে দোষারোপ করে থাকেন। বাবা-মা যদি একটা...

শ্রম, মেধা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে যে কোন কাজ করলে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।

  শ্রম, মেধা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে যে কোন কাজ করলে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করার দৃষ্টান্তও আছে অনেক। সম্প্রতি আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ থেকে গ্র্যান্ট এ্যাওয়ার্ডসহ চার-চারটি এ্যাওয়ার্ড পেয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করলেন নর্থ ওয়েস্ট মিসৌরি ইউনিভার্সিটির কেমিস্ট্রি/ ফিজিক্স ফ্যাকাল্টির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রফিক ইসলাম।তিনি অধ্যাপনার পাশাপাশি নতুন কিছু উদ্ভাবন করার লক্ষ্যে নিজের মেধা ও শ্রমকে গবেষণা কাজে নিয়োজিত করেন। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়ে যান পলিসিসটিক কিডনি ডিজিস জ্বীন নিয়ন্ত্রণের ওপর। যেহেতু মানব দেহের কিডনি সেলে পলিসটিন নামক এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়, যা কোন কারণে তৈরি নাহলে কিডনিতে ছোট ছোট টিউমার দেখা দেয়...

বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর বিস্ময়কার আবিষ্কার

এক বাংলাদেশী বিজ্ঞানীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে তোলপাড়। মূল ধারার বিভিন্ন মিডিয়াতে এখন তাকে নিয়েই আলোচনা-পর্যালোচনা। এ সময়ের প্রত্যাশিত সর্বশেষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন তিনি। এই বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর নাম ড. আনিসুর রহমান। তিনি বর্তমানে পেনসিলভানিয়ার হেরিসবার্গের বাসিন্দা।বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারপোর্টসহ নিরাপত্তা এলাকাগুলোতে যখন দেহ তল্লাশি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক, তখন তিনি আবিষ্কার করেছেন একটি বিস্ময়কার প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো মানুষের শরীরে বিস্ফোরকের যেকোনো উপাদান থাকলে সেটি এমনিতেই ধরা পড়বে। এ জন্য বর্তমানের এক্সরে মেশিনের প্রয়োজন হবে ...

কর্মস্থলের সফলতা নিয়ে কিছু কথা

লেখাপড়া শেষ করে চাকরি নামক সোনার হরিণটি ধরতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। তার চেয়েও বেশি কষ্ট করতে হয় ঠিকঠাকভাবে কর্মস্থলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা এবং চাকরি টিকিয়ে রাখা। চাকরি জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট ছকের মধ্যে চলতে পারলে জীবন অনেক গোছানো হতে পারে। কর্মস্থলে আসবে সফলতা। উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে। কর্মস্থলে দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এসব ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। এ জন্য সাজ পোশাক থেকে শুরু করে সহযোগীর সঙ্গে মানিয়ে চলা পর্যন্ত কিছু কৌশল আয়ত্ত করা জরুরি। এসব বিষয় নিয়ে রইলো কিছু পরাম...

আউটসোর্সিং এ আলফা ডিজিটাল টিমের সফলতা

বর্তমানে ওডেস্ক (www.oDesk.com) মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সররদের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। ওডেস্কে যে কয়জন ফ্রিল্যান্সার সফলতার সাথে কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে “আলফা ডিজিটাল” নামক একটি টিম। বর্তমানে এই টিমের সদস্য সংখ্যা ৫০ এর কাছাকাছি। কয়েকমাস আগেও এই গ্রুপটি ওডেস্কের শীর্ষ দশের মধ্যে সপ্তম স্থানে অবস্থান করছিল। গত বছরের এপ্রিলে গঠিত হয়ে মাত্র এক বছরে তারা এ পর্যন্ত ৩১৮ টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছে এবং মোট ১৩ হাজার ঘন্টার উপর কাজ করেছে। এই মূহুর্তে তারা একসাথে ৭৫ টি প্রজেক্টে কাজ করছে। এই টিমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হচ্ছেন মামুনুর রশিদ নামক একজন ফ্রিল্যান্সার। ওডেস্কে এই সফলতা নিয়ে কথা বলেছিলাম তার সাথে। জানিয়েছেন এই সফলতার পেছনের সকল প্রচেষ্টার ক...

একটা নতুন পরিবেশ –বহু সুযোগ সম্ভাবনা

উচ্চ শিক্ষাকে আপাততঃ এক অচেনা নতুন জগতের  মতো বলে মনে হয় । এ  যেন এক অচিন্তনীয় প্রত্যাহ্বান । আমরা আপনাদের  আমন্ত্রণজানাচ্ছি—এর  (উচ্চশিক্ষা) থেকে কী করে সবচে’ বেশি আদায় করে নিতে  পারি তাই নিয়ে ভাববার জন্যে কিছুটা সময় ব্যয় করুন। এই অনুশীলনটি মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে অধ্যয়নের নতুন বিষয় যারা  অনুসন্ধান করছে তাদেরই  কথা মনে রেখে  সাজানো হয়েছে । স্কুল পর্যায়েযদি এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকে , তবে  প্রথম বার্ষিক প্রারম্ভিকাতেই ( Orientation) এর কিছু উত্তর পাওয়া যাবে। এই অনুশীলনীটিব্যবহার করে মনে একটা  ‘বৃহৎ চিত্র’ কল্পনা...

কোনো কিছু শেখার সবচে’ কাজের পথটাই হলো নিজেকে জানা

শেখার জন্যে তোমার সামর্থ্য । অতীতে যে পদ্ধতিগুলো তুমি সফলতার সঙ্গে ব্যবহার করেছো । যে বিষয়টি তুমি শিখতে চাইছো তার সম্পর্কে তোমার আগ্রহ এবং জ্ঞান । তোমার কাছে পদার্থবিজ্ঞান শেখাটা সহজ হতে পারে, কিন্তু টেনিস শেখাটা বড়ই কঠিন । এর উল্টোটাও সত্যি । শিক্ষা মাত্রেই একটা পদ্ধতি যা কিনা একাধিক ধাপ পেরিয়ে পুরো হয় । শেখার চারটা ধাপ হলোঃ এ পৃষ্ঠাটি ছেপে বের করো আর প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও । তাতে যে উত্তরগুলো পাবে তাই দিয়েই এবং অন্যান্য অধ্যয়ন নির্দেশিকার ( Study Guide) সাহায্য নিয়ে তোমার পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলো...

সময়ের ব্যবস্থাপনা

সময়ের ব্যবস্থাপনার  কৌশলগুলোর  বিকাশ হলো গে’ একটা যাত্রা। এই যাত্রা আমাদের এই  নির্দেশিকার সঙ্গে  আরম্ভ হতে পারে । কিন্তু যাত্রাপথে দরকার পড়বে  অনুশীলন এবং আরো  কিছু পথ নির্দেশিকার ।এই আলোচনার একটা লক্ষ্য হলো—কী করে সময়ের  ব্যবহার করতে হয়  সে সম্পর্কে তোমাকে আত্মসচেতন হতে সাহায্য করা । তোমারবন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং কাজকর্মের প্রেক্ষাপটে  এই লক্ষ্য তোমার  লেখাপড়ার কাজটিকে অনেক  সংহত, অগ্রাধিকার প্রদান এবং সফল হবার জন্যে একটা সহায়ক হিসেবে কাজ করে ।প্রথমত ঃ তুমি  আমাদের  সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত  অনুশীলনীটি দিয়ে  আরম্ভ...

যোগাযোগে সফলতা

প্রতিদিন চারপাশের মানুষের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হয়। যিনি যত ভালোভাবে এটি করতে পারেন, তাঁর কাজ করা তত সহজে হয় এবং এর ওপর নির্ভর করে তিনি সফলতার মুখও দেখতে পারেন। যখন একজন মানুষ কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন, তখন তাঁর সাফল্য ক্রমাগত বাড়তে থাকে।এভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যখন নিজেদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়িয়ে নেন, তখন সেই প্রতিষ্ঠানটিরও উন্নতি হতে থাকে দ্রুতগতিতে। তাই ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে যোগাযোগের দক্ষতা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যোগাযোগের মধ্যে রয়েছে কিছু কার্যকর আর কিছু অকার্যকর যোগাযোগ। আমাদের সব সময় কার্যকর যোগাযোগ বাড়াতে হবে।যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য আছেবেশ কিছু কৌশল, যেসবের সঠিক প্রয়োগে সহজে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায় কীভাবে? এর কৌশল কী ক...

সফল নারী হয়ে ওঠার গল্প

পিছিয়ে থাকার সময় অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তাইতো আমাদের নারীরা আজ সাফল্যের পতাকা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে অনেক শ্রমের গল্প। বিশ্ব নারী দিবসকে সামনে রেখে আমাদের শোবিজ জগতের খ্যাতিমান কয়েকজন নারীর সফল হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে এবারের মূল ফিচার লিখেছেন রকিব হোসেন।নারী শব্দটি উচ্চারণ করতেই আমরা সবাই নাড়ির টান অনুভব করি। নারী মানে একজন মা, কন্যা, বোন আরো অনেক সম্পর্কের বন্ধন। আর এই সম্পর্কের মাঝে আছে অনেক মধুরতা, আবেগের মাখামাখি আরো আছে আনন্দ, সুখের অনেক কাব্য। এক সময় নারী অভিধানে অবহেলিত, অসহায়ত্ব এই শব্দগুলো খুব মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেও এখন আর সেখানে এই শব্দগুলো খুব দুর্বল চেহারা নিয়ে তাকিয়ে থাকে। সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশের নারীরাও নিজেদের সাফল্যের গল্প রচনা করেছেন অনেক বন্ধুর পথ অতিক্রম করে। তেমনি আমাদের...

আমরা সত্যিই মানবকল্যাণে এমন একটি কাজ করছি, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সালমানের ‘খান একাডেমি’ পেয়েছে ‘গুগুল’-এর ২০ লাখ ডলার মূল্যমানের পুরস্কার। এক লাখ চুয়ান্ন হাজার প্রকল্পের মধ্য থেকে শিক্ষা বিভাগে সেরা নির্বাচিত হয়েছে খান একাডেমির বিনা মূল্যে শিক্ষামূলক অনলাইন ভিডিও টিউটরিয়াল। এই অর্জনের খবর পেয়ে আমরা ‘স্বপ্ন নিয়ে’র পক্ষ থেকে সালমানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ৩ অক্টোবর সালমান ই-মেইলে জানান তাঁর স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কথা।২০ লাখ ডলারের পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। খান একাডেমি এত দিন স্বল্প পুঁজি নিয়ে কাজ করছিল, এই পুরস্কার আমাদের সামনের ধাপে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। এত এত যোগ্য ও ভালো প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে খান একাডেমিকে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে, আমরা সত্যিই মানবকল্যাণে এমন একটি কাজ করছি, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এক মাসে আমাদের পোর্টালে পাঁচ লাখ ব্যবহারকারী নিবন্ধন করেছে এবং এখানে প্রায়...

স্বপ্নচূড়ায় সালমান

ছোট্ট একটা ঘর। দেয়ালগুলো ছাওয়া হালকা সবুজ রঙে। বইপত্রে ঠাসা পুরো জায়গাটা। একটা টেবিল, কাঠের গদিওয়ালা চেয়ার, প্রিন্টার আর কম্পিউটার—ঘরের আসবাব বলতে এগুলোই। এখানেই দিনমান কাজ করে যান টগবগে যুবক সালমান খান। অনেক দায়িত্ব তাঁর। বুক ভরা অনেক অনেক স্বপ্ন। প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য নির্ভর করে তাঁর ওপর। সংখ্যাটা কোটিতে নিয়ে যেতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। লাখো অভিভাবকের আশীর্বাদ আছে সঙ্গে। কাজে গাফিলতি করার উপায় নেই তাই একদমই। ভোর হলেই জানালার কাচ ভেদ করে হুড়মুড়িয়ে আলো ঢোকে তাঁর ঘরে। ঘুমে ঢুলুঢুলু। সামান্য কিছু মুখে দিয়েই নিজের চেয়ারটাতে বসে যান তখন সালমান। মনিটরে চোখ রেখে ভাবতে থাকেন শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো নিয়ে। একটানা চলে কাজ। গণিত ও বিজ্ঞানের সমস্যা সমাধানের জন্য ইউটিউবে এক হাজার ৬৩০টি ভিডিও দিয়েছেন সালমান। প্রতিদিন...

তিন তরুণের স্বপ্ন-উদ্যোগ

তাঁদের মাথায় ঘুরতে থাকে ‘আইডিয়া’। একটি ভাবনা নিয়ে তিনজন মগ্ন থাকে দিনের পর দিন। সেই ভাবনাই এনে দেয় পুরস্কার। বদলে দেয় তাঁদের জীবন। বলছি সাবাবা ইসলাম, সিফাত সারোয়ার ও সাজ্জাদুর রহমানের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তাঁরা তিনজন।‘এখন আমরা তৃতীয় বর্ষে পড়ছি। এর আগে দুই বছর তরুণ উদ্যোক্তা পুরস্কারে শুধু বড়দের অংশগ্রহণ দেখতে গিয়েছি। এবার ভাবলাম নিজেরাই করি। দেখি পারি কি না। নানা আইডিয়া মাথায় ঘুরতে লাগল। একই ক্লাসের হওয়ায় আমরা একে অন্যের সঙ্গে আলোচনা করতাম। তবে এ প্রকল্পের চিন্তাটা প্রথম আসে সাজ্জাদের মাথায়। কৃষিভিত্তিক এমন কিছু, যা পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু কীভাবে করব বুঝতে পারছিলাম না। এরপর এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করি। ইন্টারনেটে নানা তথ্য পাই। এগিয়ে যেতে থাকে কাজ।’ শুরুর কথা...

সময়টা আনন্দে কাটাও

তোমরা তো অনেক দিন খুব কঠিনভাবে পড়াশোনা করেছ। পরীক্ষার শেষে ফল বেরিয়েছে। এখন মুক্তির নিঃশ্বাস। এখন মনের আনন্দ নিয়ে তোমরা করে যাও, যা তোমাদের খুশি। আজকাল পড়াশোনা সত্যি সত্যি খুব কঠিন হয়ে গেছে। শিশুদের ওপর পড়াশোনার অমানবিক চাপ যেটা দেওয়া হয়, সেটার সঙ্গে আমি একেবারেই একমত নই। কোনো উন্নত দেশে শিশুদের ওপর পড়ালেখার এত চাপ দেওয়া হয় না। তাদের ওপর স্কুলের চাপ, পরিবারের চাপ এত বেশি যে আজকাল কিশোর-কিশোরীরা তাদের শৈশবটাকে প্রায় হারিয়ে ফেলেছে। আনন্দের, স্বপ্নের, অবকাশের মুহূর্তগুলো তাদের হাত এড়িয়ে পালিয়ে যায়।আমরা তো এই সময়টা দারুণভাবে উপভোগ করতাম। তোমরাও করো। এই সময়ে তোমরা ঘুরবে। খেলবে। প্রাণভরে জীবনের আনন্দ লুটে নেবে। অভিভাবকদের বলব, তাঁরা যেন সন্তানদের বেড়ানোর সুযোগ করে দেন। ঘরের বাইরে বেরোলে, অবকাশ পেলে সবার মধ্যে নতুন নতুন আইডিয়া...

মুসা তার স্বপ্ন পূরণ করেছে

২০০৬ সালের শুরু তখন। মুসা ইব্রাহীম সবেমাত্র নেপালের একটি পর্বতারোহণ করে এসেছে। তখন তার সঙ্গে আমার টুকটাক কথাবার্তা হয়। একদিন পর্বতে ওঠার নানারকম ছবি দেখাল। ছবি দেখতে দেখতে কথা হচ্ছিল। তখনই দেখেছি ওর অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে পাহাড় আর এভারেস্ট।ওর স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট জয় করার। নিজের স্বপ্ন সে পূরণ করবেই। ফেসবুকে ও লিখেছে, ‘আমি যদি লক্ষ্য স্থির করি যে কিছু একটা করব, মনে রেখো, আমি সেটা যেকোনো উপায়েই করে ছাড়ব।’ ফেসবুকে নিজের সম্পর্কে যা বলেছে, ও তো তাই-ই। পাহাড়ের টানেই পেশাজীবনকেও সে দূরে সরিয়ে রেখেছে। এমন কোনো পেশায় জড়ায়নি, যাতে ওর পাহাড়ে যেতে অসুবিধা হয়।নর্থ আলপাইন ক্লাব গঠন করল। ঘোষণা দিল ‘ভিশন ২০১০: মিশন এভারেস্ট’। অন্নপূর্ণা-৪ জয়ের পর ওর আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেল। এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রবলভাবে শুরু হলো এভারেস্টে যাওয়ার প্রস্তুতি।...

একটা সাগর কীভাবে হারিয়ে ফেললাম!

দলপতির আশকারা পেয়েই দলছুট হওয়ার সাহসটা পেয়েছিলাম; বুঝতে পারিনি যে পরিণতি মোটেই সুখকর হবে না। এখন উপকূলটা কোন দিকে, সেটাই আমি ঠাহর করতে পারছি নে। দল ছেড়ে দক্ষিণমুখো হওয়ার সময় মনে হয়েছিল, ম্যাকারনির বাসা দেখে ফিরতি পথে এই ছোট পাহাড়টা ডিঙিয়ে গেলেই উপকূলের নাগাল পাব, তারপর সৈকত ধরে আধাঘণ্টা জোর-কদম হাঁটলে মূল দলকে ধরে ফেলতে পারব। ম্যাকারনির ছবি তুলে বাঁয়ের পাহাড় ছাড়িয়ে আরও দুটো পাহাড় পার হয়েছি; এখন দেখি চারদিকে বরফঢাকা পাহাড় আর পাহাড়, সৈকতের কোনো চিহ্ন নেই। ম্যাকারনির খোঁজে ‘ব্রাউন ব্লাফ’ উপকূল থেকে দক্ষিণে বড়জোর এক কিলোমিটার দূরে গেছি; এখন ফিরতি পথে প্রায় এক ঘণ্টা চলার পর পানি তো নজরে আসেই নি, ঢেউয়ের শব্দও কানে আসছে না। দলছুট হয়ে দেড় ঘণ্টার মধ্যে একটা আস্ত সাগর আমি কীভাবে হারিয়ে ফেললাম বুঝি নে!ঘণ্টা দুই আগে আমরা একটা সাদামাটা...

‘আর এগিয়েছ কি মরেছ’

‘এই, হ্যালো, পিছে হটো, পিছে হটো, আর এগিয়েছ কি মরেছ।’ সাহেবি ভদ্রতার ধার না ধেরে অভিযাত্রীদের কানে তালা লাগিয়ে চিৎকার করে দলপতি বলল, ‘শিগগির পিছে আসো, পিছে চলে আসো, ওভার-হ্যাং ভেঙে পড়বে।’ আমার উদ্দেশেই এত সব চেঁচামেচি, আমিই ফালমারের ফটো তোলার জন্য দলছুট হয়ে হিমবাহের প্রান্তে চলে এসেছি। আর সব অভিযাত্রী লাঞ্চ-প্যাকেট নিয়ে দলপতির পাশে বৃত্তাকারে দাঁড়িয়ে আছেন। সকালে লঙ্গিয়ার্বেনের উষ্ণ আস্তানা ছেড়ে অন্তহীন হিমবাহে নেমে টানা চার ঘণ্টা আইস-স্কুটার হাঁকিয়ে সবাই ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত, স্তিমিত; ইতিউতি তাকানোর উৎসাহ নেই কারও, শুধু এই রাইফেলধারী হামবড়া দলপতিটা ছাড়া।আমারও উৎসাহ ছিল না হিমবাহের কার্নিশে ঝুল-বারান্দার মতো লটকে থাকা জমাট বরফের ওভার-হ্যাং কত ভর নিতে পারে, তা পরখ করার। চার ঘণ্টা আইস-স্কুটারের ক্লাচ ধরে রাখার পর লাঞ্চের ঠোঙা ছেঁড়ার...

Saturday, June 11, 2011

‘মুসাআআআ! রোপ ধরে ওঠো’

স্বপ্ন নিয়ে পাতায় এভারেস্ট বিজয়ের কাহিনি ধারাবাহিকভাবে লিখছেন মুসা ইব্রাহীম। আসুন তাঁর কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক এই দুঃসাহসিক অভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ।‘প্রথম বা দ্বিতীয় বলে কোনো কথা এখানে নেই। এটা এভারেস্ট। এতে আরোহণ করতে হয় ধীরে ধীরে এবং নিজের গতিতে।’ ২৩ জুন দিবাগত রাত ১২টার পর যখন আকাশে চাঁদ ঝলমলিয়ে উঠল, সেই প্রায় সাড়ে আট হাজার মিটার উচ্চতায় তেনজিং নোরগের এ কথা মনে পড়ছিল বারবার। বাংলাদেশ থেকে এভারেস্টে অভিযান পরিচালনা করতে হবে, দেশের লাল-সবুজ পতাকা এভারেস্টের চূড়ায় ওড়াতে হবে—ক্লাবের সেই অভিযানের সহযোদ্ধাদের কথা ভাবছিলাম। রিমি-রাইদের কথাও ঝিলিক দিয়ে মনে উদয় হচ্ছিল। ক্ষুদ্র পরিসরটা নিজের, কিন্তু এর সার্বিক অর্জন তো দেশের। দেশের জন্যই তো এ অভিযান। আরেকটা নতুন অভ্যুদয়। আরেকটা নতুন সূচনা এবং নিজের ক্ষেত্রে তা পুনর্জন্মের প্রসবপর্ব।...

এভারেস্ট জয়ের সেই সকালটি

স্বপ্ন নিয়ে পাতায় এভারেস্ট বিজয়ের কাহিনি ধারাবাহিকভাবে লিখছেন মুসা ইব্রাহীম। আসুন, তাঁর কাছথেকে জেনে নেওয়া যাক এই দুঃসাহসিক অভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ।কৈলাসের কথা শুনে গায়ের লোম খাড়া হয়ে উঠছে। সেই রক ফেসের ডান দিয়ে সরু একটা খাঁজ। তার ওপর ক্র্যাম্পন ঠেকিয়ে কোনোমতে পার হচ্ছি। এ পর্যায়ে এভারেস্টজয়ী ফিরতি দলের সঙ্গে একের পর এক সাক্ষাৎ হচ্ছে। তাদের যে অভিনন্দন জানাব, মনের সেই অবস্থাও নেই। সেই রাত আটটায় শুরু হয়েছিল ক্লাইম্বিং, এখন প্রায় ভোর। এর মধ্যে কোনো খাওয়া-দাওয়া নেই, পানিও খাওয়া হয়নি। তার পরও শরীরের শক্তির শেষবিন্দু ঠেলে দিচ্ছি পাহাড়ে ওঠার দিকে। মনের তাড়না ও জেদের প্রায় পুরো অংশ ব্যয় করছি। শুধুই ভাবছি—বিশ্বের কোনো একজন মানুষ এ কাজ পারলে তা আমিও পারব। এই ভেবে নিজেকে চাঙা রাখছি।শেষ দিকে প্রায় ৬০ ডিগ্রি খাড়া একটা ঢাল...

‘এভারেস্টের চূড়া দেখতে পাবে’

স্বপ্ন নিয়ে পাতায় এভারেস্ট বিজয়ের কাহিনি ধারাবাহিকভাবে লিখছেন মুসা ইব্রাহীম। আসুন, তাঁর কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক এই দুঃসাহসিক অভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ।প্রথম পর্বের পরকৈলাসের কথা শুনে কান ঝালাপালা হয়ে গেল। কান গরম হয়ে উঠল। আবারও জেদ চেপে গেল। দাঁতে দাঁত কামড়ে আগুন চোখে কৈলাসের দিকে তাকালাম। এরপর ঘাড় ফেরালাম আরও ডানে। এবার চার-পাঁচটা পুরোনো রোপ দৃষ্টিসীমায় এল। সেটা কিছুটা ডানে সরে গিয়ে পাকড়ালাম এবং আগের মতো বাঁ হাতে জুমার ঠেলে এবং ডান হাতে রোপ আঁকড়ে ধরে সেই ওভারহ্যাং ট্র্যাভার্স করতে শুরু করলাম।বিধি বাম। ২০ সেকেন্ডের চেষ্টায় সেই ওভারহ্যাং পাশ কাটালাম ঠিকই। পিঠে ব্যাগপ্যাকের ভেতর অক্সিজেন বোতল রেখে রেগুলেটরটা বাইরে রেখেছিলাম, যাতে সহজেই বোতলে অক্সিজেনের পরিমাণ এবং অক্সিজেন প্রবাহ পরীক্ষা করা যায়। সেই রেগুলেটরের সঙ্গে যুক্ত রাবার...

রক্তাক্ত হাসকি কোলে নিয়ে স্লেজে ফিরে গেলাম

‘হাসকিদের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ো, এর মুখ থেকে ওকে ছাড়িয়ে নাও, রক্ত দেখে ভয় পেয়ো না, হাত লাগাও, হার্নেস ধরে টান মারো, একে সরাও, ধরো ওটাকে।’ দলনেতা রবার্ট উন্মত্ত কুকুরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে করতে পাগলের মতো চিৎকার করে আমার উদ্দেশে এসব কথা বলল। আমাদের দুই স্লেজের কুকুর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ১২টি হাসকির গর্জনে কানে তালা লাগছে, মুলার মতো দাঁত ঢুকে যাচ্ছে কারও পেটে-পিঠে। পায়ের তলায় হিমবাহের সাদা জমি কুকুরের রক্তে লাল। রবার্ট যতই চেঁচাক, এক ডজন সংগ্রামী হাসকির মাঝে সশরীরে দাঁড়ানো কি সোজা কথা! কিন্তু আমারই ‘পদস্খলনে’ শুরু হয়েছে এ হাসকি-লড়াই, এখন খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে তো থাকতে পারি না। বিকশিত দাঁতের বীভৎস সারি অগ্রাহ্য করে ভূলুণ্ঠিত একটা হাসকিকে টেনে সরালাম। অমনি তার ক্ষিপ্ত প্রতিপক্ষ ঝাঁপিয়ে পড়ল আমার ওপর। তার ভারে আমি ধরাশায়ী...

আমার মাথায় চাটি মেরে দৈত্যটা উড়ে গেল….ইনাম আল হক

‘দৈত্য, দৈত্য—পেট্রেল আসছে, মাথায় ঘা মারবে, বসে পড়ো বোকারাম, বসে পড়ো।’ চিৎকার করে এসব নির্দেশ দিতে দিতে ব্রেন্ট হিউস্টন হঠাৎ বসে পড়ে উত্তর দিকে সেজদা দিল। নির্দেশগুলো আমার উদ্দেশেই ছিল, কিন্তু আমার মাথায় তখন কি আর কিছু ঢোকে! দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা শেষে সদ্য অ্যান্টার্কটিকায় পা ফেলেছি, তারপর ‘প্যারাডাইস বে’ বা স্বর্গোপকূলের পাথুরে দেয়ালে আরোহণ করে একেবারে ঘোরের মধ্যে আছি। সমুদ্রের গর্জন কমে এসেছে, সৈকতে আমাদের সহযাত্রীদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে শত শত ‘অ্যাডেলি পেঙ্গুইন’। আজ শীতের তীব্রতা কমেছে, তাপমাত্রা বেড়ে শূন্য ডিগ্রিতে এসেছে, সারাক্ষণ ঝুরঝুর করে তুষার ঝরছে। পাহাড়ের ওপর ওড়াউড়ি করছে দক্ষিণ মহাসাগরের বিরল পাখি, দৈত্য-পেট্রেল ও খয়রা-স্কুয়া। কাছে গিয়ে এদের দেখার জন্য আমরা দুই পাখিপ্রেমী পাহাড়ে উঠেছি। আরোহণের শ্রমে শরীর গরম, মন...

আশা পূর্ণ হলো প্রতারণা দ্বীপে

‘সুপ্রভাত, ঘণ্টাতিনেক পর আমরা ডিসেপশন আইল্যান্ডে পৌঁছে যাব। এ দ্বীপ দুনিয়ার মেলা নাবিককে ধোঁকা দিয়েছে, কিন্তু আজ তোমার প্রত্যাশাটা ঠিকই পূরণ করবে।’ এক বাটি গরম স্যুপ নিয়ে দোদুল্যমান টেবিলের দিকে এগিয়ে যেতেই এ কথা বলে আমাকে স্বাগত জানাল ব্রেন্ট হিউস্টন। আমাদের জাহাজ তখন দক্ষিণ মহাসাগরে ভাসমান বরফের অন্তহীন জঙ্গলে গুটি গুটি এগিয়ে চলছে। গতকালও জাহাজটি খণ্ড বরফের এই কণ্টকশয্যা পার হয়েছে অক্ষত দেহে। তবে অভিযাত্রী সবাই অক্ষত থাকেননি। অনেকেই সমুদ্রপীড়ায় কুপোকাত হয়ে আজ ব্রেকফাস্টে গরহাজির। বাইরে ঝকঝকে রোদ। পানিতে ছোঁ মেরে মাছ শিকার করছে একটি অ্যালব্যাট্রস। আমি বললাম, ‘কথাটা মনে রেখো ব্রেন্ট, আমার আশা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু জাহাজে ফিরব না। তখন ক্যাপ্টেন ডেমেল যদি মাইকের আওয়াজ বাড়িয়ে জাহাজ কাঁপিয়ে অনুপস্থিত যাত্রীর মুণ্ডুপাত করে...

‘তুষার-কবর’ থেকে বেরিয়ে এলাম

মাথা ঝাঁকিয়ে বরফ ঝেড়ে কুছ পরোয়া নেই ভঙিতে আমার গাইড বলল, ‘তুষার পড়লেই কি শেরপা থেমে যায়!’ কিছুক্ষণ ধরে তুষার ঝরছিল; এবার জোর বাতাস ছেড়েছে। তীরের মতো তুষারকণা এসে মুখে বিঁধছে। মাথার ওপর ছাতা ধরেও মুখ রক্ষা করা যাচ্ছে না, পালক-পোরা জ্যাকেটটি শুধু দেহ রক্ষা করে চলেছে। শেরপা গাইড ‘আঙ-কামি’ ছাতা আনেনি; ইমজােস ট্রেইলে অকাল তুষারপাতের কথাটা প্রস্তুতিপর্বে তার মনে ছিল না। ‘ছাতা ছাড়া তুমি এখন চলবে কী করে!’—এ কথা বলায় ঘাউড়ামি করে সে আরও জোরে পা চালাচ্ছে।সাত দিন আগে লুকলা থেকে ইমজােস বেস-ক্যাম্পের উদ্দেশে আমাদের ট্রেকিং শুরু হয়েছে। মে মাসে অক্ষত দেহে এভারেস্ট বেস-ক্যাম্প ট্রেকিং শেষ করে স্ফীত আত্মবিশ্বাসে আমি ইমজােস অভিযান হাতে নিয়েছি। দুই বন্ধু আমার সঙ্গী হয়েছে; তাদের জীবনের প্রথম ট্রেকিং। এক-ট্রেকিং সিনিয়রিটি নিয়ে আমি তাদের ‘ওস্তাদ’ বনে...

সফল জীবনের জন্য…….মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ্

মানবজাতির জীবন বলতেই তার একটি উদ্দেশ্য থাকা চাই।উদ্দেশ্যহীন জীবনের নেই কোনো মূল্য, নেই কোনো প্রাপ্য। জীবনের যেমন উদ্দেশ্য আছে, তেমনি উদ্দেশ্যেরও রয়েছে জীবন তথা জীবনময়তা। অর্থাৎ উদ্দেশ্যের সততা ও মহত্ত্ব। তাই উদ্দেশ্য হতে হবে সৎ ও মহৎ, যার ছত্রে-ছত্রে থাকে আদর্শের দীপ্তি। জীবনের উদ্দেশ্য ও উদ্দেশ্যের জীবন তথা আদর্শ ও উদ্দেশ্যের শুদ্ধতা ও সততাই হলো সফল জীবনের মূলমন্ত্র। উদ্দেশ্যময়তা ও অলসতা পরস্পরবিরোধী আচরণ। কখনো উভয়ের সম্মিলন হতে পারে না। যে ব্যক্তি জীবনের কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিয়েছে, তার পূর্ণ মনোযোগ নিবদ্ধ থাকে সে লক্ষ্যের দিকে। সে এদিক-সেদিক মনোযোগ দিয়ে নিজের স্বর্ণের মতো মূল্যবান সময় নষ্ট করতে পারে না। লক্ষ্য নির্ধারণ করে যে জীবন পরিচালনা করে, সে তীব্র বেগে ছুটে ঐ মুসাফিরের মতো যে প্রতিটি মুহূর্ত নিবিষ্ট থাকে আখেরি মনজিলের দিকে...

সফল ব্যবসায়ী বশির আহমদ

দেশে শুধু রেমিটেন্স প্রেরণ নয় সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে আমাদের পরিচিতি ও অবস্থান শক্তিশালী করতে হবে।জনাব বশির আহমদ ব্রিটেন তথা ইউরোপে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে একজন পরিচিত মুখ। সফল ব্যবসায়ী ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব। তিনি সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসেন। বিশ্বাস করেন পরিশ্রমে। শ্রম ও অধ্যবসায় তাকে এনে দিয়েছে অনেক সাফল্যে। চলার পথে নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলার অদম্য সাহস ও আত্মবিশ্বাসই তাকে নিয়ে এসেছে আজকের এই অবস্থানে।সিলেট শহরের কাজলশাহ নিবাসী জনাব চেরাগ আলী খানের দ্বিতীয় পুত্র বশির আহমদ। বেড়ে উঠেছেন সিলেট শহরের আলো বাতাসে। সিলেট এইডেড হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক, মদনমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও বিকম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ...

Page 1 of 1312345Next

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons