Total Pageviews

Sunday, June 12, 2011

কর্মস্থলের সফলতা নিয়ে কিছু কথা


লেখাপড়া শেষ করে চাকরি নামক সোনার হরিণটি ধরতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। তার চেয়েও বেশি কষ্ট করতে হয় ঠিকঠাকভাবে কর্মস্থলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা এবং চাকরি টিকিয়ে রাখা। চাকরি জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট ছকের মধ্যে চলতে পারলে জীবন অনেক গোছানো হতে পারে। কর্মস্থলে আসবে সফলতা। উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে। কর্মস্থলে দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এসব ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। এ জন্য সাজ পোশাক থেকে শুরু করে সহযোগীর সঙ্গে মানিয়ে চলা পর্যন্ত কিছু কৌশল আয়ত্ত করা জরুরি। এসব বিষয় নিয়ে রইলো কিছু পরামর্শ

অফিসে যারা আপনার সিনিয়র তাদের সঙ্গে সব সময় ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ কাজ শেখার ব্যাপারে সিনিয়ররাই আপনাকে সাহায্য করবে। তাই প্রথমেই সিনিয়রদের সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা না করে তাদের গুণগুলো লক্ষ্য করুন। িঅফিসের টাইম মেইনটেইন করুন। সব সময় অফিসে ঠিক টাইমে পেঁৗছান। সম্ভব হলে টাইমের আগে পেঁৗছাতে চেষ্টা করুন। যখন অফিস শেষ হওয়ার কথা তখনই বের হন। যদি কোনো বিশেষ কারণে আগে বেরুতে হয় অথবা দেরি করে আসতে হয় সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টকে আগে থেকে জানিয়ে রাখবেন। িবসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। আপনি কি কাজ করছেন টাইম টু টাইম আপনার বসকে জানান। আপনাকে যদি কোনো কাজ দেওয়া হয় অবশ্যই সময় মতো কমপ্লিট করুন। িঅফিসের কাজে অত্যধিক স্ট্রেস শরীর-মনে অসুস্থতার জন্ম দেয়। এ স্ট্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে প্রয়োজন ইতিবাচক মানসিকতা। তাই অফিসে ঢোকার পরপরই একটা রাফ অব লিস্ট তৈরি করে এমন জায়গায় রাখুন যাতে সহজেই চোখ পড়ে। প্রায়োরিটি অনুযায়ী কাজ সারুন। একেকটা করে কাজ শেষ হওয়ার পর সেটা কেটে দিন। িপ্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করার ফলে কলিগদের মধ্যে মতানৈক্য বা অসন্তোষ দেখা দিতেই পারে। এ রকম পরিস্থিতিতে মাথা গরম না করে কোনো অভিজ্ঞ কর্মী, যাকে সবাই মান্য করেন, তার সাহায্য নিয়ে ব্যাপারটা মীমাংসা করার চেষ্টা করুন। িযখন বুঝতে পারবেন কাজের চাপ খুব বেড়ে উঠছে, তখন ৫-১০ মিনিটের ব্রেক নিন। কোনো বন্ধুকে ফোন করে একটু গল্প করুন বা অফিসের বারান্দা বা অন্য কোনো জায়গায় একটু হেঁটে নিন। সঙ্গে আইপড বা ওয়াকম্যান থাকলে একটু হালকা মিউজিক শুনুন। তাহলে স্নায়ুর উত্তেজনা কমে আসবে। িকাজের যত চাপই থাকুক না কেন, প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর আধ ঘণ্টার ব্রেক অবশ্যই নেবেন। এ সময়টুকু ফাইল, পরীক্ষার খাতা বা কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে রাখুন। এ সময়ে লাঞ্চ বা টিফিন ছাড়াও ফল বা ড্রাই ফ্রুট খান। হারিয়ে যাওয়া এনার্জি ফিরে পাবেন। িসকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে শোয়ার আগে হালকা ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে মন শান্ত থাকবে এবং একাগ্রতা বাড়বে।
সর্বোপরি কর্মস্থলে আপনার সেরা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করুণ। প্রত্যেকটি কাজ আনন্দসহকারে সম্পন্ন করার চেষ্টা করুণ। দেখবেন সাফল্য আপনার ধরা দিবে

0 comments:

Post a Comment

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons