তোমরা তো অনেক দিন খুব কঠিনভাবে পড়াশোনা করেছ। পরীক্ষার শেষে ফল বেরিয়েছে। এখন মুক্তির নিঃশ্বাস। এখন মনের আনন্দ নিয়ে তোমরা করে যাও, যা তোমাদের খুশি। আজকাল পড়াশোনা সত্যি সত্যি খুব কঠিন হয়ে গেছে। শিশুদের ওপর পড়াশোনার অমানবিক চাপ যেটা দেওয়া হয়, সেটার সঙ্গে আমি একেবারেই একমত নই। কোনো উন্নত দেশে শিশুদের ওপর পড়ালেখার এত চাপ দেওয়া হয় না। তাদের ওপর স্কুলের চাপ, পরিবারের চাপ এত বেশি যে আজকাল কিশোর-কিশোরীরা তাদের শৈশবটাকে প্রায় হারিয়ে ফেলেছে। আনন্দের, স্বপ্নের, অবকাশের মুহূর্তগুলো তাদের হাত এড়িয়ে পালিয়ে যায়।
আমরা তো এই সময়টা দারুণভাবে উপভোগ করতাম। তোমরাও করো। এই সময়ে তোমরা ঘুরবে। খেলবে। প্রাণভরে জীবনের আনন্দ লুটে নেবে। অভিভাবকদের বলব, তাঁরা যেন সন্তানদের বেড়ানোর সুযোগ করে দেন। ঘরের বাইরে বেরোলে, অবকাশ পেলে সবার মধ্যে নতুন নতুন আইডিয়া আসে। সেই অবকাশ তোমাদের চাই। এখন তোমরা সময় পেয়েছ। এই সময়টাকে যতটা বেশি পারো, অবকাশ ও আনন্দের জিনিস দিয়ে ভরে ফেলো। তোমাদের যা নিয়ে আনন্দ করার ইচ্ছে করে, তাই করো। তবে তা যেন ভালো আনন্দ হয়, স্বাস্থ্যকর আনন্দ হয়, মনের বিকাশের অনুকূল হয়।
আরও বলব, বই পড়ো। শুধু পাঠ্যবই নয়, বাইরের বইও। বইয়ের মধ্যে যে জ্ঞানের আর আনন্দের জগৎ ছড়িয়ে আছে, সেই আনন্দ আহরণ করার চেষ্টা করো। তাহলে বই তোমার মনকে সজীব করবে আর কল্পনাশক্তি বাড়িয়ে দেবে। তোমরা শুধু পরীক্ষার নম্বরের কথা ভেবে পড়াশোনাটা কোরো না। পরীক্ষার নম্বর দরকার আছে। কিন্তু তুমি যদি আনন্দের জন্য পড়াশোনা করো, তাহলে পরীক্ষার নম্বরটাও আনন্দের পিছে পিছে তোমাদের কাছে এসে দাঁড়াবে। সুতরাং আনন্দের জন্য বই পড়ো। সেটা পাঠ্যই হোক আর পাঠ্যবইয়ের বাইরের হোক, যত ধরনের গল্পের বই আছে, সব পড়ো। জীবনীগ্রন্থ কিংবা সুন্দর সুন্দর বিজ্ঞানের, পরিবেশের— এমনি নানা ধরনের বইও পড়তে পার। সেগুলো আনন্দের জন্য পড়ো। তাহলে দেখবে, এখানে যে আনন্দ পাবে পরবর্তী সময় পরীক্ষায়ও সেই আলোর দীপ্তিতে তুমি ভালো করতে পারবে।
যারা এবার কৃতকার্য হতে পারনি তাদের বলব, নিশ্চয় আলসেমি করে, গাফিলতি করে তোমাদের কেউ কেউ অনেক সময় নষ্ট করেছ। অথবা হয়তো কোনো সমস্যা ছিল—পারিবারিক, আর্থিক—এই রকমের নানা সমস্যা। যারা আলসেমির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত তাদের আমি সক্রিয় হতে বলব, সামনেরবার যেন ভালো করতে পার। পড়াশোনাটা ভালো করে করো। সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে পড়াশোনা খুবই দরকার। একে কিছুতেই অবহেলা করা যায় না। জীবনে যদি ভিত্তিটা প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে বাকি সবকিছু ব্যর্থতার দিকে চলে যেতে পারে। একমাত্র অতিমাত্রায় প্রতিভাবান মানুষেরা এর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে, সাধারণ মানুষের সে ক্ষমতা নেই। সে জন্য আমি সবাইকে বলব, যারা পরীক্ষায় ভালো করোনি তারা ভালো করার জন্য চেষ্টা করো, পরিশ্রম করো এবং পড়াশোনার মধ্যে যে আনন্দ আছে সেটাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করো। আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা মুখস্থনির্ভর, পাঠ্যনির্ভর। বুঝে পড়ো। পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাবনা-চিন্তা করো। চিন্তা আর কল্পনাশক্তিসম্পন্ন মানুষ হও। আলোকিত মানুষ হও। পৃথিবী তোমার হাতের মুঠোয় এসে যাবে।
আমরা তো এই সময়টা দারুণভাবে উপভোগ করতাম। তোমরাও করো। এই সময়ে তোমরা ঘুরবে। খেলবে। প্রাণভরে জীবনের আনন্দ লুটে নেবে। অভিভাবকদের বলব, তাঁরা যেন সন্তানদের বেড়ানোর সুযোগ করে দেন। ঘরের বাইরে বেরোলে, অবকাশ পেলে সবার মধ্যে নতুন নতুন আইডিয়া আসে। সেই অবকাশ তোমাদের চাই। এখন তোমরা সময় পেয়েছ। এই সময়টাকে যতটা বেশি পারো, অবকাশ ও আনন্দের জিনিস দিয়ে ভরে ফেলো। তোমাদের যা নিয়ে আনন্দ করার ইচ্ছে করে, তাই করো। তবে তা যেন ভালো আনন্দ হয়, স্বাস্থ্যকর আনন্দ হয়, মনের বিকাশের অনুকূল হয়।
আরও বলব, বই পড়ো। শুধু পাঠ্যবই নয়, বাইরের বইও। বইয়ের মধ্যে যে জ্ঞানের আর আনন্দের জগৎ ছড়িয়ে আছে, সেই আনন্দ আহরণ করার চেষ্টা করো। তাহলে বই তোমার মনকে সজীব করবে আর কল্পনাশক্তি বাড়িয়ে দেবে। তোমরা শুধু পরীক্ষার নম্বরের কথা ভেবে পড়াশোনাটা কোরো না। পরীক্ষার নম্বর দরকার আছে। কিন্তু তুমি যদি আনন্দের জন্য পড়াশোনা করো, তাহলে পরীক্ষার নম্বরটাও আনন্দের পিছে পিছে তোমাদের কাছে এসে দাঁড়াবে। সুতরাং আনন্দের জন্য বই পড়ো। সেটা পাঠ্যই হোক আর পাঠ্যবইয়ের বাইরের হোক, যত ধরনের গল্পের বই আছে, সব পড়ো। জীবনীগ্রন্থ কিংবা সুন্দর সুন্দর বিজ্ঞানের, পরিবেশের— এমনি নানা ধরনের বইও পড়তে পার। সেগুলো আনন্দের জন্য পড়ো। তাহলে দেখবে, এখানে যে আনন্দ পাবে পরবর্তী সময় পরীক্ষায়ও সেই আলোর দীপ্তিতে তুমি ভালো করতে পারবে।
যারা এবার কৃতকার্য হতে পারনি তাদের বলব, নিশ্চয় আলসেমি করে, গাফিলতি করে তোমাদের কেউ কেউ অনেক সময় নষ্ট করেছ। অথবা হয়তো কোনো সমস্যা ছিল—পারিবারিক, আর্থিক—এই রকমের নানা সমস্যা। যারা আলসেমির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত তাদের আমি সক্রিয় হতে বলব, সামনেরবার যেন ভালো করতে পার। পড়াশোনাটা ভালো করে করো। সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে পড়াশোনা খুবই দরকার। একে কিছুতেই অবহেলা করা যায় না। জীবনে যদি ভিত্তিটা প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে বাকি সবকিছু ব্যর্থতার দিকে চলে যেতে পারে। একমাত্র অতিমাত্রায় প্রতিভাবান মানুষেরা এর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে, সাধারণ মানুষের সে ক্ষমতা নেই। সে জন্য আমি সবাইকে বলব, যারা পরীক্ষায় ভালো করোনি তারা ভালো করার জন্য চেষ্টা করো, পরিশ্রম করো এবং পড়াশোনার মধ্যে যে আনন্দ আছে সেটাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করো। আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা মুখস্থনির্ভর, পাঠ্যনির্ভর। বুঝে পড়ো। পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাবনা-চিন্তা করো। চিন্তা আর কল্পনাশক্তিসম্পন্ন মানুষ হও। আলোকিত মানুষ হও। পৃথিবী তোমার হাতের মুঠোয় এসে যাবে।
0 comments:
Post a Comment