Total Pageviews

Sunday, June 12, 2011

সময়ের ব্যবস্থাপনা


সময়ের ব্যবস্থাপনার  কৌশলগুলোর  বিকাশ হলো গে’ একটা যাত্রা। এই যাত্রা আমাদের এই  নির্দেশিকার সঙ্গে  আরম্ভ হতে পারে । কিন্তু যাত্রাপথে দরকার পড়বে  অনুশীলন এবং আরো  কিছু পথ নির্দেশিকার ।
এই আলোচনার একটা লক্ষ্য হলো—কী করে সময়ের  ব্যবহার করতে হয়  সে সম্পর্কে তোমাকে আত্মসচেতন হতে সাহায্য করা । তোমারবন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং কাজকর্মের প্রেক্ষাপটে  এই লক্ষ্য তোমার  লেখাপড়ার কাজটিকে অনেক  সংহত, অগ্রাধিকার প্রদান এবং সফল হবার জন্যে একটা সহায়ক হিসেবে কাজ করে ।
প্রথমত ঃ তুমি  আমাদের  সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত  অনুশীলনীটি দিয়ে  আরম্ভ করো।
প্রতিদিন তুমি তোমার   সময় কীকরে ব্যয় করো ?

স্কুল বা কলেজের শিক্ষাকাল/সেমিষ্টাৰ সূচী অনুসারে লেখাপড়ার  সময় খণ্ডের ব্যবস্থা করো বা পরিকল্পনা তৈরি করো।একবারে প্রায় ৫০ মিনিট হ’লে কি চলবে ? একনাগাড়ে কতটা সময় পড়ে গেলে তোমার ধর্য্যচ্যুতি ঘটে  বা তুমি হয়ে পড়ো?কিছু  কিছু শিক্ষার্থীর নানা কারণে ঘন ঘন  বিরতির দরকার হতে পারে।  যে সময়টিতে তোমার মনে হয় তুমি অত্যন্ত সৃজনশীল, সেরকম  সময়ে সময়খণ্ডগুলোকে  সুদৃঢ় করো, তার মানে তখনই পড়তে বসো ‘ভোরের পাখি বা রাতের পেঁচা’র মতো।
সাপ্তাহিক পুনরীক্ষণ বা নবীকরণ সূচীঃ তোমার ক্যালেণ্ডারটি  পুণরীক্ষণের জন্যে রোববার রাতের   বেলা খুব ভালো সময়হতে পারে । মনে রাখবে , সময়ের  শেষ সীমা তথা পরীক্ষা কাছে চেপে এলে তোমার সাপ্তাহিক ক্যালেণ্ডারখানাও সেভাবে গড়ে তুলতে হবে ।
নির্দিষ্ট কাজের অগ্রাধিকারলেখাপড়া করবার বেলা সবচে’ কঠিন বিষয়টি বা কাজটি দিয়ে শুরু করো  । বেশি কঠিন পাঠ্যক্রমের জন্যে তোমার সফলতার পথটিকেও  নমনীয় করে নাও ।  তোমার  করণীয় কাজের (assignment) উপর যখনই কোনো  পরামর্শ পাবে, তখনই সময়ের আগেই  ‘প্রতিক্রিয়া সময়’ ঠিক করে রাখো । তারমানে তুমি  এই ‘প্রতিক্রিয়া সময়ে’ পরামর্শগুলো কাজে লাগাবেবা কী করে কাজে লাগাবে  সে নিয়ে মোটামোটি কিছু একটা লিখে রাখো ।
প্রথম ধাপটি সম্পূর্ণ করো —কিছু  একটা করে শেষ করোতোমাকে যে কাজটি দেয়া হয়েছে তার একটা  (Assignment) রূপরেখা সম্পূর্ণ বিকশিত হবার আগে  বিস্তৃতভাবে কাজটি  করতে যেও না । ‘উৎকৃষ্টতা ভালোর  শত্রু’—এই কথাটি, বিশেষ করে  একটা এসাইন্টমেন্টের শুরুর ক্ষেত্রে সত্য। নিজের ধারণাগুলোর একটি খসড়া প্রস্তুত করে নিয়ে তার থেকে এগিয়ে যাও।
স্কুল বা কলেজের  কাজ শেষ নাহওয়া পর্যন্ত যে সমস্ত কাজ  বা সময়সূচী পিছিয়ে নেয়া যেতে পারে , সেইগুলো পিছিয়ে দাও।অগ্রাধিকারের  অংশ হিসেবে কম জরুরী কাজগুলো সরিয়ে রাখো , অন্যকে করতে দাও , বা দেরি করো । পরীক্ষার জন্যেপুনঃপঠন একটা  খেলা  উপভোগ করার থেকে  বেশি  গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তদুপরী পরীক্ষার চাপের থেকে মুক্ত হবার পরে যে খেলাটি খেলবে সেটি নিশ্চইয় বেশি উপভোগ্য হবে ।
মনোযোগ বাড়াবার জন্যে যেখানে  কোনো বাধাবিঘ্ন নেই সেরকম  বিকল্প জায়গাতে গিয়ে পড়তে বসো ।
তোমার ‘অবসর’ সময়ের  সদ্ব্যবহাৰ করোঃসেরকম  সময়গুলোর  কথা ভেবে বের করো যখন তুমি  অল্প হলেও লেখাপড়া করতে পারো । যেমন তুমি যখন কোথাও হাঁটছবা বাসে করে যাচ্ছ তখন লেখাপড়ার  উপায় বের করো।
শ্রেণীতে যাবার  প্রাকমুহূর্তে নোটবইএর  পাঠগুলোর উপর চোখ বুলাও  ।
শ্রেণী শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই বক্তৃতার নোটগুলো  ( Lecture Material) পুনরীক্ষণ করো।
( পুনরীক্ষণ ছাড়া  কথাগুলো  ২৪ ঘন্টার  ভেতরেই ভুলে যাবার সম্ভাবনা সবচে’ বেশি)
এ সম্পর্কে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসাইনমেন্ট গণনা যন্ত্র ব্যবহার করে দেখো ।
Assignment calculator
তোমার বিদ্যায়তনিক এবং  বিদ্যায়তনিক  প্রয়োজনগুলো  পূরণ  করবার মতো করে তোমার  সময়সূচী ঠিক করবার  উপায় বের কর।
একটি  ‘করণীয় তালিকা’ (To Do List) প্রস্তুত করো
এই তালিকাটি  তোমাকে  ক’টি  বিষয় শনাক্ত করা , সেই ক’টি করার  যৌক্তিকতা , এগুলো  করে শেষ  করতে  একটাসময়রেখা বেঁধে ফেলতে সাহায্য করবে।   এখন একে ছেপে নিয়ে মনে করিয়ে দেবার জন্যে চোখে পড়বার মতো করে ঝুলিয়ে রাখার ব্যবস্থা করো।
দৈনিক/সাপ্তাহিক আঁচনিঃএকটি  কালানুক্রমিক দিনলিপিতে  বা তালিকা চিত্রে কারো সঙ্গে দেখা করবার  প্রতিশ্রুতি (Appointments), শ্রেণীগুলোর সময়এবং  সভা সমিতি ইত্যাদির  কথা লিখে  রাখ। সকাল বেলার  প্রথম কাজটি  হবে –দিনের জন্যে  নির্দ্ধারিত কাজগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেয়া । তুমি  যে কালকের জন্যে পুরো  প্রস্তুত সেটি  জেনে নিয়ে তবে বিছানাতে যাও।
দীর্ঘকালিক পরিকল্পনা 
একটি  মাসিক তালিকা চিত্র তৈরি করো  যাতে তুমি আগে থেকে  পরিকল্পনা করতে পারো । দীর্ঘকালিক  পরিকল্পনা আগে থেকে   গঠনমূলকভাবে সময়ের পরিকল্পনা করতে  স্মারক হিসেবে কাজ করবে ।

0 comments:

Post a Comment

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons