Total Pageviews

Sunday, June 12, 2011

শ্রম, মেধা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে যে কোন কাজ করলে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।

undefined 
শ্রম, মেধা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে যে কোন কাজ করলে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করার দৃষ্টান্তও আছে অনেক। সম্প্রতি আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ থেকে গ্র্যান্ট এ্যাওয়ার্ডসহ চার-চারটি এ্যাওয়ার্ড পেয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করলেন নর্থ ওয়েস্ট মিসৌরি ইউনিভার্সিটির কেমিস্ট্রি/ ফিজিক্স ফ্যাকাল্টির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রফিক ইসলাম।
তিনি অধ্যাপনার পাশাপাশি নতুন কিছু উদ্ভাবন করার লক্ষ্যে নিজের মেধা ও শ্রমকে গবেষণা কাজে নিয়োজিত করেন। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়ে যান পলিসিসটিক কিডনি ডিজিস জ্বীন নিয়ন্ত্রণের ওপর। যেহেতু মানব দেহের কিডনি সেলে পলিসটিন নামক এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়, যা কোন কারণে তৈরি নাহলে কিডনিতে ছোট ছোট টিউমার দেখা দেয় কিংবা কিডনি সেলে খুব বেশি পরিমাণে পলিসটিন তৈরি হলে কিডনি বিকল হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্য্যন্ত ঘটতে পারে। সেজন্য এই জ্বীনটিকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি হয়ে পড়ে। ড. রফিক ইসলামের কিডনি ডিজিস জ্বীনের নিয়ন্ত্রণের ওপর এ সাফল্য ভবিষ্যতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রাখবে বলা যায় নিঃসন্দেহে।

ড. রফিক ইসলাম গ্র্যান্ট এ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ আগামী ২০১৩ সাল পর্যন্ত আরো নতুন কিছু উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা চালিয়ে যেতে তাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যা কি-না নর্থ ওয়েস্ট মিসৌরী ইউনিভার্সিটিতে (এন আই এইচ -এর কাছ থেকে গ্র্যান্ট এ্যাওয়ার্ড পাওয়া) এবারই প্রথম। ড. রফিক ইসলামের এ ধরনের সাফল্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য শুধু আনন্দের বিষয় নয়- বাংলাদেশের জন্য গর্বেরও বিষয়।
উল্লেখ্য যে, তিনি গ্র্যান্ট এ্যাওয়ার্ড ছাড়াও নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে নিষ্ঠার সাথে গবেষণা ও অধ্যাপনার দায়িত্ব পালন করায় ও ভার্সিটিতে ন্যানো বিজ্ঞান প্রোগ্রাম চালু করায় স্টুডেন্ট সিনেট থেকে পেয়েছেন কোয়ালিটি এ্যওয়ার্ড, নতুন ও সহজ পদ্ধতিতে সিলভার ন্যানো গঠনের আবিষ্কার করে পেয়েছেন ডীন রিসার্চ এ্যাওয়ার্ড। একই সাথে গবেষণার পাশাপাশি শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ভার্সিটি থেকে এ্যালামনাই এসোসিয়েশন ‘‘আউটস্ট্যান্ডিং ফ্যাকাল্টি’’ এ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন।
আমেরিকা প্রবাসি ড. রফিক ইসলাম নিজের মেধা, শ্রম-নিষ্ঠা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে অধ্যাপনায় ও গবেষণায় সংশ্লিষ্ট রেখে ন্যানো বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করে আবিষ্কার করেন যে, দিন দিন প্রতিটি জিনিস ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে। কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে ক্ষমতা-শক্তি। যা ভবিষ্যতে ন্যানো বস্তুর চাহিদা বাড়াবে এবং এসব বস্তুর ধারণাসম্পন্ন ব্যক্তিদের শিল্প-কল-কারখানায় প্রয়োজন হবে। বর্তমানে ন্যানো বস্তু কম্পিউটার, মাইক্রো প্রসেসর, ইলেক্টোনিক্সে ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে বায়ো-সেন্সর এবং মেডিসিন হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রচুর গবেষণা হচ্ছে। উদহারণ স্বরূপ বলা যায়, ন্যানো বস্তুর তৈরি সেন্সর রক্তের মধ্যে থাকা ক্যান্সার সেল সনাক্ত করে ধ্বংস করে দেবে। এ উদ্ভাবনা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন চিকিৎসায় ভূমিকা রাখবে। একই সময়ে চার-চারটি এ্যওয়ার্ড অর্জন করে প্রবাসী বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনলেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, প্রবাসী বাংলাদেশী ড. রফিক ইসলাম উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়ো-কেমিস্ট্রি’র প্রভাষক হিসেবে অধ্যাপনা করাকালীন উচ্চতর ডিগ্রি নিতে যান জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটিতে। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে এসে পুনরায় পাড়ি জমান আমেরিকায়। সেখানে মিসৌরি স্টেটের সেন্ট লুইস ইউনিভার্সিটিতে কেমিস্ট্রি/মলিক্যুলার বায়োলজি ডিপার্টমেন্টে এসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে অধ্যাপনা ও গবেষণা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি মিসৌরি স্টেটের নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে কেমিস্ট্রি/ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপনাসহ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

0 comments:

Post a Comment

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | JCPenney Coupons